প্রেম, প্রতারণা ও ঘৃণার ছবি / মিতুল আহমেদ

Zero-Degree (3)

দশ বছর আগের রুচি আর এখনের রুচির মইধ্যে আকাশ-পাতাল ব্যবধান! পৃথিবী হয়া গেছে একটা গ্লোবাল ভিলেজ; পৃথিবীর শেষ প্রান্তে আজ একটা সিনেমা তৈরি হলে মুহূর্তেই সেইটার খবর অন্যান্য প্রান্তে পৌঁছে যায়; দর্শক সেইটা জন্ম হওয়ার পরক্ষণেই দেখেও ফেলতে পারে। গুণে-মানে, আকার-ইঙ্গিতে বদলে গেছে বিশ্বসিনেমার অবয়বও। এত উৎকর্ষতা আর পরিবর্তন-পরিবর্ধনের পরও বাংলা সিনেমা গত দশ বছর আগে যে-রকমটা ছিল, দশ বছর পরে এসেও প্রায় সেই জায়গাতেই রয়ে গেছে! মানুষের রুচির উপর দিয়ে মহা বিপ্লব ঘটে গেছে; কিন্তু বাংলা সিনেমার অই অর্থে কোনো রূপান্তর ঘটেনি। গত পনেরো বছরের মধ্যে শুধু ‘কাট পিস্’-এর যুগ থেকে ‘কপি পেস্ট’-এর যুগে ফেরা ছাড়া তেমন পরিবর্তন এখন পর্যন্ত ঘটেনি আমাদের মূলধারার সিনেমায়। রূপালি পর্দায় তাই জোড়াতালির গপ্পো আর একই ঘ্যানরঘ্যানরে দর্শক যারপরনাই বিরক্ত; সিনেমাহল বিমুখতা এর বড় দৃষ্টান্ত; ফলে সিনেমাপ্রযোজকরা এফডিসির প্রতি আস্থা হারিয়ে যৌথ প্রযোজনার দিকে ছুটছেন, হলমালিকেরা ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন হিন্দি সিনেমা কিংবা ভিনদেশি সিনেমা আমদানিতে। আর ‘সার্ভাইব্যল ফর দ্য ফিটেস্ট’ নীতি ভুলে বাংলা সিনেমার কলাকুশলীরা নিজেদের অযোগ্য প্রমাণ করতে ভিনদেশি সিনেমা আমদানি ঠেকাতে কাফনের কাপড় পরে নির্লজ্জের মতন রাস্তায় নামছেন! বাংলা সিনেমার এমন বেহাল সময়ে দেশের সিনেমাহলে মুক্তি পেলো অনিমেষ আইচের প্রথম ছবি ব্ল্যাক সাইকো থ্রিলার ‘জিরো ডিগ্রী’। যে সিনেমাহলে ‘জিরো ডিগ্রী’ ছবিটা দেখলাম, এইখানে শৌখিন মানুষেরা আসেন না, বার্বিকিউ প্রজন্ম এই সিনেমাহলের দিকে মুখ ফিরেও তাকান না, শিল্পবোদ্ধাদের তো প্রশ্নই আসে না; বরং এইখানে আসেন বাংলা সিনেমার সংখ্যাগরিষ্ঠ দর্শক, যারা শিল্প বোঝেন না, সিনেমা-সমালোচনা বোঝেন না; কিন্তু দিনশেষে নিজের ঘামে ভেজা শ্রমের পয়সায় সিনেমাহলে আসেন বিনোদনের জন্য। তিনঘণ্টা ফ্যুল মাসালানির্ভর সিনেমাতেই তারা অভ্যস্ত; নাচ, গান, প্রেম, বিরহ, প্রতিবাদ আর অ্যাকশানে ঘোরলাগা তিনঘণ্টা; বাস্তব জীবনের অতৃপ্তি, চাওয়া-পাওয়াগুলান সিনেমার ভিতরে ফ্যান্টাসির মধ্য দিয়া খুঁজে পান এবং এক ধরনের মধুর তৃপ্তি নিয়া তারা সিনেমাহল ত্যাগ করেন। তো ৫০ টাকা দিয়া যে কাওরান বাজারের আন্ডারপাসের সামনের মলিন চেহারার ‘পূর্ণিমা’ সিনেমাহলে ‘জিরো ডিগ্রী’ দেখলেন, আর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সিনেপ্লেক্সে বসে যে-সিনেমাবোদ্ধা এই সিনেমাটা দেখলেন তারা কি পরস্পরের জায়গা থেকে ‘জিরো ডিগ্রী’ নিয়া তৃপ্ত হতে পারছেন? সিনেপ্লেক্সে-বসে-থাকা সিনেমাবোদ্ধার কথা জানি না, তবে ‘জিরো ডিগ্রী’ রগরগে মাসালানির্ভর সিনেমা না-হওয়া সত্ত্বেও, মলিন চেহেরার পূর্ণিমা হলের ভাঙা-আর-ছারপোকাময়-সিটে-বইস্যা-সিনেমা-দেখা দর্শকেরা আমার ধারণা ঠিকই তৃপ্তি পেয়েছেন। হ্যাঁ, জানি; তারা যে-সিনেমা দেখে অভ্যস্ত এইটা তা না। এই ছবিতে কোটিপতির মেয়ের সাথে ভ্যানওয়ালার ছেলের পুতুপুতু রোম্যান্সের দৃশ্য নাই, একটা রসালো আইটেমগান নাই, চৌধুরী সাহেবের পাণ্ডাদের সাথে নায়কের একাই একশ’ হয়ে ফাইটিঙের কোনো সিন নাই; তারপরেও তারা তিনঘণ্টা বসে ‘জিরো ডিগ্রী’ দেখেছেন। এবং পরম তৃপ্তি নিয়া তারা হল্ ত্যাগ করেছেন। এ অন্যরকম তৃপ্তি, বাংলা ছবি দেখে যা এর আগে কেউ খুব-একটা পায়নি। ‘জিরো ডিগ্রী’ প্রেমের ছবি, প্রতারণার ছবি। নীরা, অমিত আর সোনিয়ার সম্পর্ক, প্রেম, বিদ্বেষ আর ঘৃণার ছবি। এই তিনজন মানুষের প্রেম, ঘৃণা আর নির্যাতনের গল্প বলে ‘জিরো ডিগ্রী’। না, এটা দুই নারী আর এক পুরুষের ত্রিভূজ প্রেমের সস্তা কোনো চিত্রনাট্যের মহড়া নয়। সমকালীন রিয়েলেস্টিক গল্প নিয়া এই ছবি। একটা থ্রিলার ছবি হিসেবে এই ছবির কাহিনির মধ্যে হয়তো আপনি প্রচুর সমন্বয়হীনতা কিংবা অসামঞ্জস্য খুঁজে পাবেন; কিন্তু ছবির গল্পের যে স্ট্রেন্থ, অভিনয়ে প্রত্যেকে যে দক্ষতা আর এক্সপ্রেশন দেখালেন এবং ডায়লগ থ্রোয়িং আর স্টোরিটেলিঙে যে মুন্সিয়ানা আমরা দেখলাম এইগুলি তো বাংলা ছবিতে একেবারে নতুন।

Zero-Degree

ছবির কাহিনি এ-রকম : একমাত্র ছেলেকে নিয়ে অমিত-নীরা (মাহফুজ আহমেদ ও রুহি) সুখী দম্পতি। টেলিকমিউনিকেশনে চাকরি করে অমিত, আর নীরা একটা প্রাইভেট কোম্প্যানিতে। সবকিছু ভালোই চলছিল। নীরাকে প্রায়শই অফিসট্যুরে দেশের বাইরে যেতে হয়; এটা উত্তরাধুনিক সময়ের একজন স্বামী হিশেবে অমিত মেনে নিয়েছে। সবসময় অমিতকে সে সবিস্তার বলেও যায়। এভাবেই একদিন নীরা দেশের বাইরে ট্যুরে যায়; কিন্তু অমিতকে এবার তেমনকিছু বলেনি। অন্যবার বিদেশে পৌঁছেই স্কাইপে জানায়, ছেলের সাথে কথা বলে, দেশে কবে ব্যাক করবে সবই বলে; কিন্তু এবার আর তেমনটা হয় না। অমিতের টেনশন, কোনো বিপদ হলো না তো! নীরার অফিসে খোঁজ নিয়ে সে জানতে পারে অফিসট্যুরে সে যায়নি; বরং অফিস থেকে একমাসের ছুটি নিয়েছে নীরা। বড় ধরনের ধাক্কা লাগে অমিতের! বুঝতে আর বাকি থাকে না। এর মধ্যে অমিতের কাছে নীরার ফোনও আসে। এক রকস্টারকে ভালোবাসার কথা জানায়, এ ভুলের ক্ষমা হয় না, তবুও অমিতকে ক্ষমার আহ্বান জানায় নীরা। তাকে ভুলে যেতে বলে। অমিতের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সে। এর মধ্যে রোড-অ্যাক্সিডেন্টে একমাত্র ছেলেটাও মারা যায়। এই সবকিছুর জন্য সে স্ত্রী নীরাকে দায়ী মনে করে; পৃথিবীর সমস্ত নারীকেই তার প্রতারক মনে হয়। স্বাভাবিক চিন্তা তার মাথায় আর আসে না। ফলত বিষাদগ্রস্ত অমিতের মানসিকভাবে বিপর্যস্ততা চরম আকার ধারণ করে। তাকে চিকিৎসার জন্য মানসিক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। এরপর পরিচালক আমাদের একই মানসিক কেন্দ্রে ভর্তি সোনিয়া (জয়া আহসান) নামের আরেকজনের করুণ গল্প শোনান। আমরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অমিতের গল্প থেকে সোনিয়ার গল্পে মনোনিবেশ করি। পূর্ণিমা-হলের দর্শকেরা ভুলে যান বাংলা ছবির প্যারালাল হিরোর কথা যে একাই সবকিছু তছ্নছ করে দিতে পারে, শত পুরুষকে হটিয়ে সম্ভ্রম-বাঁচিয়ে-ফেরা সেই সুপারহিরোইনের কথা তারা মুহূর্তেই ভুলে যান একজন সোনিয়ার অসহায়ত্বের গল্প দেখে। হ্যাঁ, এই অংশটা একজন নারীর প্রতারণার শিকার হওয়ার গল্প; আমাদের চলমান সমাজের গল্প। এই সমাজে একা একজন নারী কতটা অসহায়, অনিরাপদ ও ভোগ্যপণ্য তা সোনিয়া চরিত্রের ভেতর দিয়া আমরা দেখি। বৃদ্ধ গুরুজির লিবিডোকামনা, সুপারম্যল-মালিকের বক্র চাহনি, মদ্যপ লম্পটের লকলকে জিভ, অর্থের বিনিময়ে প্রেমিকার দেহ বিক্রি — এর সবই আমরা দেখি। পুরুষের প্রতি তীব্র ঘৃণা নিয়ে বড় হয়েছে সোনিয়া। পুরুষ হিশেবে সে প্রথমে তার লম্পট বাবাকে চিনেছে, যার নারী নিয়ে ফুর্তি করা ছাড়া আর কর্ম ছিল না; প্রতিবাদ করায় একদিন চোখের সামনেই তার মাকে গলা টিপে হত্যা করে ফেলে। পাষণ্ড পুরুষ! তারপর একটা নিরাপদ জীবনের সন্ধানে যতবারই পুরুষের শরণাপন্ন হয়েছে, ততবারই প্রতারিত হয়েছে সোনিয়া। অপমান আর ঘৃণায় শেষপর্যন্ত সে আত্মহত্যা করতে চেয়েছে, কিন্তু পারেনি; এক সম্মোহনী চেহারার কবি এসে বাধ সাধে, পরস্পর ভালোবাসায় জড়িয়ে যায়। প্রথমবারের মতো সোনিয়ার মনে হয় পৃথিবীর সব মানুষ একরকম নয়; সবাই ঘৃণার পাত্র নয়, কেউ কেউ ভালোবাসারও। একসময় ভুল ভাঙে সোনিয়ার, কিন্তু সে-সময় আর কিছুই করার নেই। কবির-ভেক-ধরে-থাকা এই মানুষটিও আসলে পুরুষ! অর্থের বিনিময়ে যে জুয়াড়িদের কাছে বিক্রি করে দেয় তাকে। মানসিক নিরাময় কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে অমিত-সোনিয়ার প্রতিশোধ পর্ব শুরু হয়। অমিতের টার্গেট প্রতারক নারী, আর সোনিয়ার টার্গেট লম্পট পুরুষ! ভার্চুয়ালে নীরা নামের এক নারীর সাথে অমিতের পরিচয় ঘটে, যার একটি ছেলেও আছে। অমিত সেই নারীর মধ্যে তার স্ত্রীর ছায়া খুঁজে পায়। প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠে সে; ফলে খুন করে ফেলে। সোনিয়াও তার উপর নির্যাতনকারী পুরুষদের একের-পর-এক শাস্তি দিয়ে যাচ্ছে, সেও খুন করে বসে গুরুজিকে। অন্যদিকে অমিতের স্ত্রী নীরা সিঙ্গাপুরে রকস্টার প্রেমিকের সাথেও ভালো নেই। এর মধ্যে কথা হয় অমিতের সাথে; নীরাও প্রেমিককে খুন করে ফের স্বামীর কাছে চলে আসে। ঘটনাচক্রে অমিত-নীরা-সোনিয়া একসাথে হয়ে যায়; এবং তারা তিনজনই খুনী। তাদের খুঁজছে পুলিশ। কিন্তু ধরা দেয় না; বরং আত্মহত্যার মধ্য দিয়াই তারা মুক্তি খুঁজে নেয়। নির্মাণ নয়, ক্যামেরার কারিগরি নয়, স্পেশাল ইফেক্টের রঙ চড়ানোও নয়, কাস্টিং কিংবা কস্টিউম নয়, চকবাহারি দৃশ্য কিংবা শক্তিশালী অভিনেতা বা অভিনয়ও নয়; আমাদের মতো স্বল্প বাজেটধারী দেশের ছবির সব-থেকে গুরুত্বপূর্ণ দিক হওয়া উচিত চিত্রনাট্য বা গল্প। অনিমেষ আইচের ‘জিরো ডিগ্রী’ সেই দিগন্ত যেন আরো উন্মোচিত করে দিলো। গল্প একটা ছবির প্রাণ; শুধু গল্পের উপর দাঁড়িয়ে একটা ছবি উৎরে যেতে পারে। বাংলা ছবিতে যে প্রাণের উপস্থিতি এতদিন ছিল খুব দুর্লভ। কিন্তু এখন সময় পাল্টেছে; তরুণ মেধাবী নির্মাতারা আমাদের নিজেদের গল্প নিয়ে ছবি বানানোর সাহস করছেন; একেবারে মৌলিক গল্প নিয়ে উদগ্রীব হয়ে আছেন আরো অনেক নির্মাতা। বাংলা ছবিতে ভালো গল্পের দৈন্য ঘুচাতে জিরো ডিগ্রীর মতন ছবির বিকল্প নেই। সমকালীন সম্পর্ক, প্রেম, প্রতারণা, আর ঘৃণার ছবি ‘জিরো ডিগ্রী’। তিনজন মানুষের প্রেম, ঘৃণা আর নির্যাতনের গল্প বলে। স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য কলহ কিংবা বিচ্ছেদ এমনকি পরস্পর খুন হয়ে যাওয়ার খবর পর্যন্ত আমরা প্রতিনিয়তই দৈনিক পত্রিকাগুলোতে দেখি; এবং বেশিরভাগ ঘটনা ঘটে দাম্পত্য সম্পর্কের মাঝখানে একটা অনৈতিক বা অবৈধ সম্পর্কের অনুপ্রবেশের কারণে। একটা ছবি তো জাস্ট বিনোদনই না, আরো বেশি কিছু, সমকালীন সমাজের প্রতিচ্ছবিও। অমিত-নীরার সুখী দাম্পত্য জীবনে অনৈতিক সম্পর্কের অনুপ্রেবশের ফলে ভাংচুরের যে গল্প ছবিতে আমরা দেখি, তা অভিনব নয়, কাহিনিকারের কল্পনাপ্রসূতও নয়; বরং এইটা খুবই রিয়েলিস্টিক। আবার সোনিয়া নামের যে-মেয়েটি পুরুষ শ্রেণির প্রতি তীব্র ঘৃণা পোষণ করে তারও বীজ এই সমাজব্যবস্থার মধ্যেই গাঁথা। এই সবই পরম মুন্সিয়ানার ভেতর দিয়া অনিমেষ আইচ তার ছবিতে মেলে ধরেছেন। যারা ছবি দেখতে আইস্যা শিক্ষামূলক মেসেজ খোঁজেন তারা অনৈতিক সম্পর্কগুলোর পরিণতি এইরকম করুণ হয় বলে শিক্ষা নিয়ে যেতে পারেন। আর যারা ভাবুক তারা এইটা নিয়া ভাবতে পারেন যে, সোনিয়ার চোখে পৃথিবীর সব পুরুষ কামাতুর, লোভী, ভেক-ধরে-থাকা হিংস্র জানোয়ার; অন্যদিকে অমিতের চোখে পৃথিবীর সমস্ত নারী ঠক, প্রতারক। এর মধ্য দিয়া নারী-পুরুষ উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গিরে একটা দ্বান্দ্বিক প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দিলেন অনিমেষ আইচ। এই দ্বন্দ্বের সুরাহা কি, আছে কি আদৌ? ভেবে জানায়েন…

Zero-Degree_Joya

অস্থিতিশীল একটা বেপরোয়া সময়ে বাস করছি আমরা; রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সবক্ষেত্রেই একটা অস্থিরতা বিরাজ করছে চারদিকে। চাপা উদ্বেগ, উৎকণ্ঠায় ঠাসা এই সময়। সংঘাত আর সহিংসতায় সারা দেশের মানুষ আতঙ্কিত; বিঘ্নিত স্বাভাবিক কাজকর্ম! এইরকম অস্থির, অস্থিতিশীল সময়ে খুব কম মানুষই বিনোদিত হওয়ার জন্য সিনেমাহলে যাবে, বা যাচ্ছে। ফলে হয়তো বাংলা সিনেমার ইতিহাসে অনিমেষ আইচের জিরো ডিগ্রীর মতন অসাধারণ একটা ছবি ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। যদিও-বা একটা স্থিতিশীল সময় আমাদের জীবনে কবে নাগাদ ফিরে আসবে, বা আদৌ আসবে কি না তা অজানা। তবুও জয় হউক জিরো ডিগ্রীর…!

...

মিতুল আহমেদমিতুল আহমেদ ।

গদ্যকার

1 Comment

Filed under সারথি

One response to “প্রেম, প্রতারণা ও ঘৃণার ছবি / মিতুল আহমেদ

  1. কাউসার রুশো

    লেখকের সঙ্গে একমত। চমৎকার রিভিউ

    Like

Leave a comment